উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলায় পক্ষ হতে চেয়ে এবার আবেদন দায়ের করল কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত এই মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানিও রয়েছে। ১৯৯১’র উপাসনাস্থল আইনে বলা হয় যে স্বাধীনতার সময় দেশে বিভিন্ন উপাসনাস্থলের ধর্মীয় চরিত্র যা ছিল তা পরিবর্তন করা যাবে না। বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিবাদ খাড়া করে সে সময়ে গোটা দেশে অস্থিরতা তৈরি করেছিল আরএসএস-বিজেপি। এই মামলায় পক্ষ হওয়ার জন্য ডিসেম্বরেই আবৃদন জানায় সিপিআই(এম)। বিরোধী ডিএমকে-ও এই মামলায় পক্ষ হওয়ার আবেদনব জানিয়েছে। কংগ্রেসের আবেদনে বলা হয়েছে, উপাসনাস্থলের চরিত্র বজায় রাখা জরুরি। দেশের জন্যই এই আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ধর্মীয় উপাসনাস্থলের চরিত্র বদল সংক্রান্ত আবেদন বিবেচনায় অনুমতি দেন। নিম্ন আদালতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মসজিদকে ‘মন্দির ভেঙে তৈরি’ বলে আবেদন দায়ের করছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন অংশ। তাকে ঘিরে উত্তেজনাও ছড়ানো হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের লাভ তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি।
উপাসনাস্থল আইন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে নিম্ন আদালতে উপাসনাস্থলের চরিত্র পরিবর্তনের জন্য দায়ের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন জোরালো করেছে বিরোধী দলগুলি। সে সময় আইনকেই অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেই দায়ের হয়েছে মামলা। শীর্ষ আদালত সে মামলা গ্রহণ করেছে। তবে সাময়িকভাবে উপাসনাস্থলে সমীক্ষার বিভিন্ন নির্দেশ স্থগিত রাখারও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এমন সমীক্ষার মধ্যে রয়েছে বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বা উত্তর প্রদেশের সম্ভলে এমনই মসজিদ সমীক্ষা ঘিরে তীব্র উত্তেজনার জেরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৫ জন।