আজকের দিনটি শুধুমাত্র এক দশকের অর্জনের স্মরণ নয়, বরং এক নতুন প্রতিশ্রুতির দিন। কৈলাসহর মহিলা থানার সহযোগিতায় এবং জেলা মহিলা ক্ষমতায়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ(৮ই ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যার মূল বার্তা ছিল কন্যা সন্তানদের সুরক্ষা ও নারীদের ক্ষমতায়ন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে একত্রিত করা হয়েছে, যাতে তারা কন্যা সন্তানদের অধিকার এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন হন।
এই র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন কৈলাসহর ভগিনী নিবেদিতা, কৈলাসহর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এবং শিশু নিকেতন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন মহিলা থানার অফিসার ইনচার্জ রিপিতা ভট্টাচার্য, জেলা ওমেন হাবের কো-অর্ডিনেটর পরিতোষ দেবনাথ, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ পিয়ালী শর্মা, ডালিয়া পাল ছাড়াও চাইল্ড হেল্প লাইন এবং জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিভিন্ন ভাষণে বারবার বলেছেন; ‘একটি শিক্ষিত কন্যা সন্তান কেবল একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ নয়, বরং গোটা সমাজের অগ্রগতির প্রতীক।’ তিনি মনে করেন, কন্যাশিশুদের সমান সুযোগ এবং শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত না করলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
‘বেটি বাচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচির সফলতার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষার হার বেড়েছে, লিঙ্গ বৈষম্য কমেছে এবং
কর্মসংস্থানে নারীদের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা ওমেন হাবের কো-অর্ডিনেটর পরিতোষ দেবনাথ বলেন, ‘দশ বছর আগে যে স্বপ্নের বীজ বোনা হয়েছিল, আজ তা একটি শক্তিশালী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তবে পথচলা
এখানেই শেষ নয়। আমরা চাই প্রতিটি কন্যা সন্তান যেন নিরাপদ পরিবেশে বড় হয়, শিক্ষার সুযোগ পায় এবং নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ যদি একত্রিত হয়, তবে মেয়েদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।’
কন্যা সন্তানরা সমাজের গর্ব, দেশের অমূল্য সম্পদ। ‘বেটি বাচাও, বেটি পড়াও’ শুধুমাত্র একটি স্লোগান নয়, এটি একটি সামাজিক বিপ্লব, যা নারী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিচ্ছে। কৈলাসহরের এই উদযাপন শুধুমাত্র অতীতের সাফল্যকে স্মরণ করার দিন নয়, বরং আগামী দিনের জন্য একটি নতুন শপথ গ্রহণের দিন বলেই মনে করছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন*মানুষ।