ঊনকোটি জেলা সদর কৈলাসহরে প্রাক্তন সৈনিক লিগ এবং পৌর পরিষদের যৌথ উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হল বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৯ তম জন্মদিন। কৈলাসহর নেতাজী কর্ণারে সুভাষচন্দ্র বসুর মর্মর মূর্তিতে মাল্যদান এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কৈলাসহরের প্রাক্তন সৈনিক লিগের সভাপতি ইরামন্ত সিংহ,মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলারাণী দেবরায় সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বিশিষ্টজনেরা।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে নেতাজী বিদ্যাপীঠ ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। শোভাযাত্রা এসে শেষ হয় নেতজী কর্ণারে। জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তারা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এবং আদর্শ তুলে ধরেন। প্রাক্তন সৈনিক লিগের পক্ষ থেকে বত্তৃ«তায় নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং তাঁর দেশের প্রতি নিরলস প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
কৈলাসহর পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘পরাধীন ভারতের মুক্তিমন্ত্রের সাধক এবং জাগ্রত যৌবনের প্রতীক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু একজন সংগ্রামী নায়ক। তিনি শৌর্য, বীর্য এবং ত্যাগের এক মূর্ত প্রতীক। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রামী চেতনা আমাদের আজও অনুপ্রাণিত করে।’
মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার বলেন, ‘নেতাজীর আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তাঁর ‘রাত্রির তপস্যা’ স্বাধীন দিনের সূচনা করেছে। তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য এক চিরন্তন প্রেরণা।’

অন্যদিকে চণ্ডীপুর আর্টস্্ এণ্ড ক্রাফট পরিচালিত ‘‘নেতাজী শিক্ষা নিকেতন’’, শ্রীরামপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯তম জন্ম দিন পালিত হয়। সকাল ১১টায় খুদে পড়ুয়াদের বর্ণাঢ্য রেলী স্কুল বেরিয়ে শ্রীরামপুর পাকা সেতু পর্যন্ত পরিক্রমা করে স্কুলে ফিরে আসে। এরপর স্কুলের প্রথা অনুযায়ী দুপুর বারোটা দশ মিনিটে পতাকা উত্তোলন উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন স্কুল রিচালন কমিটির সভাপতি জীবন দেবনাথ। এরপর নেতজীর মর্মর মূর্তিতে ফুলের স্তবক দিয়ে পরিচালন কমিটির সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা অংশ নেন। স্বাগত ভাষণ দেন পরিচালন কমিটির সম্পাদক প্রলয়েন্দু চৌধুরী। নেতাজীর কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন পরিচালন কমিটির সভাপতি জীবন দেবনাথ, সাংবাদিক মৃনাল কান্তি সিংহ। ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকান্ত চৌধুরী।
