বামফ্রন্ট সরকারের শেষ বছর অর্থাৎ ২০১৭ সাল। রাধাকিশোর ইনস্টিট্যুশনের পেছনে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মনু স্থল বন্দরকে কেন্দ্র করে ইন্টিগ্রেটেড ডেভলাপমেন্ট কমপ্লেক্স গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। আর কে মাঠের উত্তর প্রান্তে পুরানো একটি বটগাছ কেটে ফেলতে হয়। তাই নিয়ে শহরে আবার বিতর্কও তুঙ্গে উঠে। শেষ পর্যন্ত দলমত সব নাগরিকদের নিয়েই ১২কোটি টাকা প্রস্তাবিত ব্যায়ে আধুনিকতম স্থল বন্দরের শিলান্যাস করেন তৎকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। ভারত বাংলাদেশ উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্ত ব্যবসায়ীরা এক রাশ স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধীরে ধীরে নির্মাণ সামগ্রীও জমা করা হয় সীমান্ত লাগোয়া মাঠে। স্থল বন্দর থেকে নতুন রাস্তার জন্য জমি জরিপও হয়।
বামফ্রন্ট সরকার এর পরাজয়ের পর বিজেপি ক্ষমতায় বসলে কয়েক দফা শোনা যায় এর কাজ শুরু হবে। যেমনটা কৈলাসহর বিমানবন্দর নিয়ে ষান্মাসিক আশ্বাস বাণী শোনাতেন মন্ত্রী থেকে মাঠ স্তরের শাসক দলীয় নেতারা। ঠিক এই স্থল বন্দর নিয়েও আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে মনু নদীর জল অনেক দূর গড়িয়ে যায়। ছয় বছর অতিক্রান্ত। অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকতে থাকতে নির্মাণ সামগ্রী পাথরকুচি প্রায় সবুজ ঘাসে ঢেকে যায়। কৈলাসহর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা নির্মাণ সামগ্রী দিন দুপুরে চুরি হচ্ছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য জমানো পাথরকুঁচি লরি ট্রিপার বোঝাই করে নানা জায়গায় চালান করে দিচ্ছে। সোমবার একটি উড়ো ফোন কৈলাসহর থানার পুলিসের চোখে আঙুল দেখিয়ে দেয়। সেই ফোনেই তৎপর হয়ে সরজমিনে গিয়ে বামাল ধরে ফেলে লরি ও ট্রিপার চালককে। নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। কৈলাসহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা শিকার করে বিষয় তদন্ত চলছে বলে জানান।
