২০১৮ সালে বামেদের বিপর্যয়ের পর এক সময়ের শক্তিশালী দুর্গ পাহাড় যেন ঝিমিয়ে গিয়েছিল। উপজাতিদের বিভিন্ন গোষ্ঠী জাতিগত আত্ম পরিচয় নিয়ে লড়াইয়ে অভিমুখ বদলেছে পাহাড়ি জনপদের তরুণ তরুনীরা। পুইলা জাতি উলা পার্টি, তিপরা ল্যাণ্ড, গ্রেটার তিপরা ল্যাণ্ড নানা স্লোগানে ভর করে সবাইকে জোট করে রাজনৈতিক জমি দখল করেছে। স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বিশেষ করে যুব অংশ। ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে সেই স্বপ্ন শীর্ষ চূড়ায় চড়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশের সপ্তাহ দিনের মধ্যেই বদলে যায় স্বপ্নের উড়ান। নানা মান অভিমানের কথার বাণী শুনিয়ে প্রদ্যোৎকিশোর একদিন সকালে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর টেলিফোনের রিং টোন শুনে উঠে

পড়লেন। তরুনদের সমবেত উচ্ছাসের ভিড়ে বের হল সাংবিধানিক সমাধান। জলোচ্ছাসের মত যে উচ্ছাস দেখা দিয়েছিল তা যেন মিইয়ে গেল। পাহাড়ে চলছে চরম আর্থিক সংকট, কাজ নেই, পানীয় জল নেই, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এ নিয়ে কোন কথা নেই তিপরা মথা নেতাদের মুখে। জনজীবনের সেই আওয়াজ নিয়েই গণমুক্তি পরিষদ রাজভবন অভিযানে নেমে শক্তির জানান দিল। কিভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, তিপরা মথা কিভাবে বিজেপি-র জনবিরোধী নীতিগুলোকে সমর্থন করছে তার তথ্য তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী, জি এম পি সাধারণ সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা, নরেশ জমাতিয়া, যুব নেতা কুমুদ দেববর্মা ছাত্র নেতা সুজিত ত্রিপুরা প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আগামী দিনে দাবি আদায়ে উপজাতি-অনুপজাতি, হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ নির্বিশেষে একসাথে মিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঢেউ তোলার আহ্বান জানান।
