রাত পোহালেও সিপিএম ত্রিপুরা ২৪তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। বুধবার দুপুর বারোটায় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ। আস্তাবল ময়দান পক্ষকাল আগে চেয়ে পার্টির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানালেও বিজেপি সরকার প্রাক মুহূর্তে বাতিল করে দেয়। রাজধানীতে প্রকাশ্য সমাবেশে নানারকম বাধার প্রাচীর তৈরির পর মফস্বল শহরগুলোতে চলছে তারই অনুসরণ। আগরতলাগামী যাত্রীবাহি বাসগুলো অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকিং করার পরও শেষ মুহূর্তে সব বাস বাতিল করে দেয় বিজেপি-র মোটর শ্রমিক সংঘের নেতারা। বিভিন্ন শহরে একই কায়দায় প্রকাশ্য সমাবেশে যাতে সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা না যেতে পারে তার জন্য গাড়ি মালিকদের হুমকি দিচ্ছে। কৈলাসহর মহকুমাতে ঠিক একই অবস্থা। পক্ষকাল আগে বি এম এসের সঙ্গে সিপিএম মহকুমা সম্পাদক অঞ্জন রায় ২৯ জানুয়ারী আগরতলা সমাবেশের জন্য ১২ টি যাত্রীবাহী বাস অগ্রিম বুকিং করে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত বি এম এস থেকে জানায় ১২ টি নয় ৭টি বাস দেওয়া যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে বাসের চালকরা একে একে জানান তাদের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে। আগরতলা থেকে সরাসরি চাপ সৃষ্টি করছে বাস না দেওয়ার জন্য। এটা একটা ফ্যাসীবাদী আক্রমণ।

তারপরও আমাদের কর্মী সমর্থকরা জেদি মনোভাব নিয়ে তৈরী হচ্ছে আগরতলা
এ বিষয়ে পার্টির জেলাস্তরের নেতা কান্তিলাল দেব বলেন, ‘কৈলাসহর মোটরস্ট্যান্ডকে রাজনীতির কারখানায় পরিণত করেছে বিএমএস নেতৃত্ব। এটি একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা এভাবে রাজনৈতিক দলের স্বার্থে ব্যবহার করা ঠিক নয়। দলীয়করণের এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।’
তবে সিপিএম কর্মীরা এই বাধার মুখে থেমে থাকার পাত্র নয়। সিপিএম পার্টির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রাইভেট মালিকদের গাড়ি ভাড়া করে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে কর্মীরা আগরতলার সমাবেশে যোগ দেবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সিপিএম-এর অন্যান্য নেতারা, যেমন অরুণাভ সরকার, নিরঞ্জন রায় ও স্বপন আচার্য, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তারা জানান, ফ্যাসিবাদী বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু সিপিএম কর্মীদের মনোবল এত সহজে দমিয়ে রাখা যাবে না।