ঊনকোটি জেলা সদর কৈলাসহরের শ্রীরামপুরে সোমবার মধ্যরাতে কতিপয় দুষ্কৃতি হামলা চালায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ঊনকোটি জেলার সহ সভাপতি কল্যাণ সোমের বাড়িতে। উঠোনে থাকা অল্টো গাড়ির উপর হামলা চালায়। কল্যাণ সোম বর্তমানে প্রয়াগে কুম্ভ মেলায় রয়েছেন। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন কল্যাণ সোমের ষাটোর্ধ বৌদি সবিতা সোম। অন্যান্য দিনের মতো বারান্দার গ্রিলের দরজা লাগিয়ে ঘুমোতে যান। সেই সময় বিকট শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন কতিপয় দুষ্কৃতি উঠোনে থাকা অল্টো গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। রাতের আঁধারে কাউকে চিনতে পারেননি সবিতাদেবী। ঘটনার বিবরণ দিয়ে কৈলাসহর থানায় দুষ্কৃতি আক্রমণের ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান সবিতা দেবী। পূর্ব শত্রুতা কিছু আছে কিনা তাও বলতে পারেননি সবিতাদেবী। তবে এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ। কল্যাণ সোম একজন ব্যবসায়ী। হার্ডওয়্যারের ব্যবসার সাথে ঠিকেদারী কাজও করেন। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর তিনি ঠিকেদারী কাজে হাত লাগান। এর আগে কতদিন বাংলাদেশে আমদানী,
রপ্তানী বাণিজ্যের সাথেও জড়িত ছিলেন। ঠিকেদারী কাজে হাত দেওয়ার পর আর বাংলাদেশের সাথে কোন ব্যবসা নেই। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা শহর কৈলাসহর হওয়ার কারণে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু আক্রমণের ঘটনাবলীতে কৈলাসহরও অনেক সময় সেম্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। গত ডিসেম্বরে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে বাংলা চলো অভিযান চালানো হয়। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কৈলাসহরেও সেই অভিযান হয়। আর কে আই মাঠে সেদিন পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আটকায়। সেই অভিযানে অন্যান্যদের সঙ্গে কল্যাণ সোমও নেতৃত্ব দেন। গতকাল রাতের ঘটনায় স্থানীয় নাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন তাহলে কৈলাসহরও কি হিন্দুদের নিরাপত্তা নেই। তবে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা কমিটি বা মণ্ডল কমিটির পক্ষ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে কোন বিবৃতি নেই। বলা যায় নীরব দর্শক ও শ্রোতার ভূমিকায় রয়েছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতারা।