প্রবাহ প্রতিবেদন ঃ ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ৫৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশের সঙ্গে কৈলাসহরেও পালিত হয়। সোমবার কৈলাসহর ছাত্র-যুব ভবনে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই দিনটির আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন, বিভাগীয় সম্পাদক সাগর ভট্টাচার্য, রাজ্য কমিটির সদস্য বিশাল চক্রবর্তী, প্রীতম দত্ত, রুপাঙ্গন বাস্পার প্রমুখ। সাংবাদিকদের সাগর ভট্টাচার্য জানান, ১৯৭০ সালের ২৭-৩০ ডিসেম্বর কেরালার তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এসএফআই-র জন্ম হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সংগঠন রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সাম্য এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরার ইতিহাসে এসএফআই শুধু একটি সংগঠন নয়; বরং এটি এক আন্দোলনের প্রতীক। ষাটের দশকে রাজ্যে যখন খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছিল, তখন ছাত্রসমাজের নেতৃত্বেই শুরু হয় প্রতিষ্ঠান নবিরোধী আন্দোলন। খাদ্য ও শিক্ষার দাবিতে রাজপথে নেমে আসে ছাত্রসমাজ। আর সেই আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন দিলীপ, তরুণ ও অরবিন্দের মতো তরতাজা যুবকরা। শিক্ষাব্যবস্থা সংকটে, লড়াই অব্যাহত বর্তমান সময়ে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে শিক্ষাব্যবস্থা চরম সংকটের মুখে। সাগর ভট্টাচার্যের কথায়, ‘সংবিধান প্রদত্ত অবৈতনিক শিক্ষার অধিকার আজ আক্রান্ত। বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে সংকুচিত করার চেষ্টা করছে। শিক্ষা আজ ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে।’ এসএফআই-এর এই প্রতিষ্ঠা দিবস শুধুমাত্র উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং এটি ছিল সংগঠনের সদস্যদের জন্য লড়াইয়ের শপথ
গ্রহণের দিন। তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, শিক্ষার অধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাজতন্ত্র অর্জনের লক্ষ্যে লড়াই অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তারা উল্লেখ করেন, ‘শুধু বড় লক্ষ্যে নয়, ছাত্রসমাজের দৈনন্দিন সমস্যাগুলি সমাধানের জন্যও কাজ করবে এসএফআই।’ ৫৫ বছরের ঐতিহ্যকে সম্বল করে, ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চায় শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধরক্ষারজন্য।