গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতি উত্তাল গোটা দেশ। ভেঙ্গে পড়েছে আইন শৃঙ্খলা । সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, বাংলাদেশ ছাড়ার হিরিক ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তার উত্তাপ লেগেছে। প্রায়ই অবৈধ সীমান্ত অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে পাচারকারীদের দৌরাত্ম বাড়ছে। পাচারকারীদের ধাওয়া করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বাংলাদেশী পাচারকারীদের তোপের মুখে পড়ে। বি এস এফ – বি জি বি-র যৌথ বৈঠকে তা সুরাহা হয়
এই পরিস্থিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর(বিএসএফ) ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) অশ্বিনী কুমার শর্মা ১১ থেকে ১২ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত পানিসাগর সেক্টরে দুই দিনের সীমান্ত সফর সম্পন্ন করেন। তাকে সঙ্গ দেন বিএসএফ পানিসাগর সেক্টরের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) রাজীব বাতসরাজ।
সফরের প্রথম দিনে আইজি শর্মা কমলপুর এবং কৈলাসহরের সীমান্ত চৌকিগুলির (বিওপি) কার্যাবলী পর্যালোচনা করেন। সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি, চোরাচালান রোধের কৌশল, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা তাঁকে ব্যাখ্যা করেন। এসময় তিনি সীমান্তরক্ষীদের সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ধলাই জেলার মরাছড়া সীমান্ত চৌকিতে বিএসএফ জওয়ানদের উদ্দেশ্যে সইনিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইজি শর্মা বলেন, তসীমান্তে আপনারা যে আত্মত্যাগ এবং নিষ্ঠা প্রদর্শন করছেন তা প্রশংসার যোগ্য। বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে সর্বদা সতর্ক থাকা এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত জরুরি।’ দ্বিতীয় দিনে, তিনি মণুঘাট ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) পরিদর্শন করেন। সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতিতে ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বিজিবি কর্মীদের তিনি একটি ফলের ঝুড়ি উপহার দেন।
এই সফরের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সীমান্তের শান্তি বজায় রাখতে এবং চোরাচালান ও অবৈধ কার্যক্রম রোধে উভয় পক্ষের মধ্যে এই সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএসএফ-এর এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক হবে।