রাজন্য শাসন থেকে ভারতভুক্তি। গ তালিকাভূক্ত রাজ্য থেকে টেরিটরিয়েল কাউন্সিলের হাত ধরে ১৯৭২ সালে ২১ জানুয়ারী ত্রিপুরা ভারতবর্ষের একটি পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পায়। রাজন্য শাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা ৫৪বছরে পা রাখল। অতীত ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এদিনটি সরকারীভাবে পালিত হয়ে আসছে। ঊনকোটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা শিক্ষা দপ্তর ও কৈলাসহর পুর পরিষদের সহযোগিতায় ৫৪তম পূর্ণরাজ্য দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এ উপলক্ষে ২১শে জানুয়ারি, মঙ্গলবার, একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির করা হয়, যা কৈলাসহরের বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। র‍্যালিটি পিএমশ্রী রাধাকিশোর ইনস্টিটিউশন ময়দান থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
র‍্যালি শেষে ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের কাউন্সিলর দীপক রঞ্জন পাল এবং প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা দপ্তরের ওএসডি বেনীমাধব চক্রবর্তী। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ-অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দেব,পিএমশ্রী রাধাকিশোর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক নিতিশ বিশ্বাস এবং রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অসীম চক্রবর্তী। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলা শিক্ষা দপ্তরের ওএসডি বেনীমাধব চক্রবর্তী। বেনীমাধব চক্রবর্তী তার ভাষণে বলেন, ‘১৯৭২ সালের ২১শে জানুয়ারি ত্রিপুরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে। এই দিনটি রাজ্যের ইতিহাসে এক গর্বের অধ্যায়, কারণ এটি ত্রিপুরার জনগণের নিজস্ব সাংবিধানিক অধিকার, প্রশাসনিক কাঠামো এবং উন্নয়নের মাইল ফলক। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাগ্মীতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যা তাদের সৃজনশীলতা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির এক অনন্য সুযোগ প্রদান করে।