বাংলাদেশের সীমন্তপুরে উচু বাঁধ নির্মাণ হয়েছে এ নিয়ে বিধানসভার ভেতরে বাইরে সরব বিরোধীরা। কৈলাসহরে মনু নদীর বাঁধগুলির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল তাতেই সরব হয়েছেন কৈলাসহরবাসী। দফায় দফায় জেলা প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসন, জল সম্পদ দপ্তরের কাছে বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছেন। কৈলাসহর জেলা কংগ্রেস পথ অবরোধ সহ টিলাবাজার থেকে রাঙাউটি বাংলাদেশে বাঁধ নির্মানের প্রতিবাদে লং মার্চ করে। সিপিএম কৈলাসহর মহকুমা কমিটিও মহকুমা শাসকের কাছে বাঁধ মেরামত সংক্রান্ত ৯দফা দাবি জানায়। দাবী পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন সবাই। রবিবার ত্রিপুরা সরকারের পূর্ত ও জল সম্পদ দপ্তরের সচিব ঝটিকা সফরে ঊনকোটি জেলা সদর কৈলাসহরে আসেন। দুপুর ১২টায় কৈলাসহর সার্কিট হাউসে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপরই জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা, পুলিস সুপার কান্তা জাহঙ্গির, গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ বদরুজ্জামান সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে পড়েন।

প্রথমে যান দুর্গানগরে নির্মিয়মান বৈদ্যুতিক শ্মশানের কাজ দেখতে। সেখান থেকে চলে আসেন গোবিন্দপুর, শ্রীরামপুর মনু নদীর বাঁধ দেখেন। তারপর চলে যান ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত গ্রাম রাঙ্গাউটিতে। সেই সময় সফর সঙ্গী হন বি এস এফের ডি আই জি রাজিব বাটসরাজ। কাটাতারের বেরার কাছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাথে কথা বলেন। দেবীপুর মনু নদীর বাঁধ থেকে বাংলাদেশের বাঁধ পরিদর্শন করেন কিরণ গীত্যে। রাজ্য সরকারের সচিব কিরণ কুমার গীত্যে সংবাদ মাধ্যমের সাথে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ বদরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান – ‘‘মনু নদীর বাঁধের অবস্থা খারাপ, মেরামত করা জরুরী। এ নিয়ে কংগ্রেস আন্দোলন করেছে। বিমানবন্দরের সামনে পথ অবরোধ করেছে। বিধায়ক বীরজিৎ সিংহ বিধানসভায় বিষয়গুলি তুলেছেন। সরকারের নজরে নিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে রাজ্য সরকারের সচিবের এই সফর।’’